ধ্বনিতত্ত্ব:
ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে ধ্বনি। আমরা জানি লিখিত ভাষায় ধ্বনিকে যেহেতু বর্ণ দিয়ে প্রকাশ করা হয়, তাই বর্ণমালা সংক্রান্ত আলোচনা ধ্বনিতত্ত্বের অন্তর্ভুক্ত। ধ্বনিতত্ত্বের মূল আলোচ্য উচ্চারণ-প্রক্রিয়া, ধ্বনির বিন্যাস,বাগ্যন্ত্র, বাগ্যস্ত্রের, স্বর ও ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ট্য, ধ্বনিদল প্রভৃতি ৷ #ব্যাকরণ
রূপতত্ত্ব :
'রূপতত্ত্বে শব্দ এবং তার উপাদান নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে। এই আলোচনায় বিশেষ্য , বিশেষণ,সর্বনাম, ক্রিয়া, ক্রিয়াবিশেষণ ইত্যাদি স্থান পায়। অতি বিশেষ গুরুত্ব পায় শব্দগঠন প্রক্রিয়া । #ব্যাকরণ
বাক্যতত্ত্ব :
সাধারণত বাক্য নিয়ে আলোচনা করা হয় বাক্যতত্ত্বে । বাক্যের নির্মাণ ও এর গঠন হচ্ছে বাক্যতত্ত্বের মূল আলোচ্য বিষয়৷ বাক্যের মধ্যে পদ এবং বর্গ কীভাবে বিন্যন্ত থাকে, বাক্যতত্ত্বে এটা বর্ণনা করা হয়। এক ধরনের বাক্যকে অন্য ধরনের বাক্যে রূপান্তর করা, বাক্যের বাচ্য, উক্তি ইত্যাদি বাক্যতত্ত্বের মূল আলোচ্য বিষয়। বাক্যের যোগ্যতা,কারক বিশ্লেষণ, বাক্যের উপাদান লোপ, যতিচিহ্ন প্রভৃতিও হচ্ছে বাক্যতত্ত্বে আলোচিত হয়ে থাকে৷ #ব্যাকরণ
অর্থতত্ত্ব :
অর্থতত্ত্বে ব্যাকরণের যে অংশে শব্দ, বর্গ এবং বাক্যের অর্থ নিয়ে আলোচনা করা হয় , আর সেই অংশের নাম অর্থতত্ত্ব। এটাকে বাগর্থতত্ত্বও বলা হয়ে থাকে। বিপরীত শব্দ, শব্দজোড় ,প্রতিশব্দ, বাগ্ধারা প্রভৃতি বিষয় অর্থতত্ত্বের অন্তর্ভুক্ত । তাছাড়া শব্দ, বর্গ ও বাক্যের ব্যঞ্জনা নিয়েও বাংলা ব্যাকরণের এই অংশে আলোচনা হয়ে থাকে৷ #ব্যাকরণ