কোটা আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের নামের তালিকা

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে সবচাইতে বড় ছাত্র আন্দোলন ছিল কোটা সংস্কার আন্দোলন বা কোটা বিরোধী আন্দোলন। যেসকল শিক্ষার্থীরা প্রাণ হারিয়েছেন বা শহীদ হয়েছেন তাদের নামের তালিকা?

প্রথমে সাধারণ শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলেও ছাত্রলীগ তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে এবং কার প্রেক্ষিতে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় । এরপর দুই পক্ষের মাঝে তুমুল লড়াই শুরু হয় ১৬ জুলাই একই দিনে ৪ জনের মৃত্যু হয় ১৭ জুলাই দুইজনের মৃত্যু হয় । পাঁচজন শিক্ষার্থী মৃত্যুবরণ করেন এবং কয়েকজন সাধারন মানুষ মৃত্যুবরণ করেন । এরপর থেকে দফায় দফায় বাড়তে থাকে মৃতদের সংখ্যা।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা কোটা আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন তারা হলো :

১) আবু সাঈদ বয়স ২২ বছর । রংপুরের পীরগঞ্জে তার বাড়ি। ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলন সমন্বয় কমিটির সদস্য ছিলেন।১৬ জুলাই ২০২৪ দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশের গুলিতে নিহত হন।( হে আবু সাঈদ আপনাকে শহীদ বললেও কম হবে আপনি নির্ভীক সৈনিক সাহসী বীর যেভাবে পুলিশের সামনে দুহাত উঁচু করে মৃত্যুকে বরণ করে দিলেন ইতিহাসের গল্প হার মেনে গেছে আপনার কাছে।) আপনি জীবিত থাকবেন হাজার বছর সকল শিক্ষার্থীর মাঝে।

২) শহীদ হয়েছেন মাহফুজুর রহমান (মুগ্ধ ) ১৮ জুলাই তিনি শিক্ষার্থীদের মাঝে পানি বিতরণ করছিলেন আর বলছিল" পানি লাগবে ভাই পানি, কারো পানি লাগলেন" এমন বলতে ছিল T.R. গ্যাসের ধোয়াই তার চোখ খুলতে পারছিনা তবুও তিনি থামেননি পানি বিতরণ করতে করতে তার মাথায় গুলি লাগে এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মুগ্ধ। 

 

৩) আফিফ, রাফি , আদনান, মো.ওয়াসিম আকরাম সহ শত শত শিক্ষার্থী।

আন্দোলনে নিহতদের সংখ্যা: 

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের তথ্য মতে , বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৬ জুলাই থেকে ১১ ই আগস্ট পর্যন্ত ৬৫০ জনের অধিক মানুষ মারা গেছে এর মধ্যে ৩২ জনই শিশু। শুধু চার আগস্ট পর্যন্তই মারা গেছে ৪০০ জন এবং ৫ ও ৬ আগস্টের সহিংসতায় মারা গেছেন ২৫০ জন। এই তথ্যের সত্যতা যাচাই বিভিন্ন গণমাধ্যমের হিসাব এবং শিক্ষার্থীদের মুভমেন্ট এর উপর মিষ্টি করে করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষার্থী, পুলিশ, পথচারী, সাধারণ মানুষ, শিশুসহ আরো অনেক। সহিংসতার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা বাহিনীর উপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ দিয়েছেন‌।


Jakaria Daria

49 Blog posts

Comments